বাক্স্বাধীনতার পথে বাধা সাইবার নিরাপত্তা আইন
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯: ৫০
বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের তীব্র আপত্তির মুখে ‘সাইবার নিরাপত্তা বিল’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। বিলটির সমালোচনা করে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নতুন আইনটিও মানুষের বাক্ ও চিন্তার স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এটি সংবিধান পরিপন্থী।
বুধবার জাতীয় সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল পাস হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে সমালোচিত ও বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে নতুন এই আইন করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলোর প্রায় সব একইভাবে রাখা হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা বিলে। অবশ্য কিছু ক্ষেত্রে সাজা কমানো হয়েছে।
বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের সমালোচনার জবাবে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধান স্বীকৃত হলেও তা অবারিত নয়।
বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, আইনটি নতুন করে হচ্ছে; কিন্তু স্বস্তি ফিরে আসছে না। কারণ, এটি নতুন বোতলে পুরোনো মদ। যেভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল, অনেকটা সেভাবেই এই আইন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ, সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের যেসব আপত্তি ও উদ্বেগের বিষয় ছিল, সেগুলো এতে রয়ে গেছে।
মোকাব্বির বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৯টি ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে উল্লেখ করে তা সংশোধনের দাবি করেছিল সম্পাদক পরিষদ। এখন প্রস্তাবিত আইনে সাতটি ধারায় সাজা ও জামিনের বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়েছে; কিন্তু অপরাধের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়নি। দুটি ধারায় কোনো পরিবর্তনই আনা হয়নি। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে দুটি ধারা বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছিল; কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে তা বাতিল না করে সাজা ও জামিনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে।