আচরণবিধি ভেঙে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরাফাত
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত (মোহাম্মদ এ আরাফাত) তাঁর মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন আরাফাত। তবে তিনি সাংবাদিকদের কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরাফাত।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ পাঁচজন উপস্থিত থাকতে পারেন। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে আরাফাতের সঙ্গে অন্তত ১০ জন লোক দেখা যায়। এ ছাড়া ইটিআই ভবনের নিচে শতাধিক লোক দেখা যায়, যাঁরা আরাফাতের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর আরাফাতের কাছে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকেরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি পাঁচজনের বেশি লোক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিইনি। চারজন ছিলেন আমার সঙ্গে—কচি ভাই, বজলু ভাই, ওয়াকিল উদ্দিন সাহেব ও মেরি আপা। তাঁদের বাইরে কারা ছিলেন, কারা এসেছেন, সেটা আমার দায়িত্ব নয়।’
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আরাফাত যখন কথা বলছিলেন, তখনো তাঁর পাশে বাড়তি লোকজন দেখা যায়। তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে চলে যাওয়ার সময়ও তাঁর সঙ্গে এই বাড়তি লোকজন ছিলেন।
ইটিআই ভবনে আরাফাত যখন আসেন, তখন তাঁর সঙ্গে আরও লোকজনকে আসতে দেখা যায়। সব মিলিয়ে শ খানেক মানুষের উপস্থিতি দেখা যায় ইটিআই ভবনের নিচে। তাঁরা আরাফাতের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ইটিআই ভবন থেকে আরাফাত যখন বের হচ্ছিলেন, তখন এই লোকজন তাঁর পেছনে পেছনে যাচ্ছিলেন।
জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান প্রথম আলোকে বলেন, প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসতে পারেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে মনে হয়, পাঁচজনই এসেছিলেন। এক-দুজন বেশি থাকলে…। এখানে সাংবাদিক বেশি হয়ে গেছে। কে সাংবাদিক, কে প্রার্থীর লোক, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
আরাফাত আগে আওয়ামী লীগের হয়ে নানা বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে যুক্ত ছিলেন। গত ডিসেম্বরে প্রথমবার তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য হন।
৯ জুন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় বোর্ডের যৌথ সভায় আরাফাতকে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
আগামী ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচন হবে। এই ভোট হবে কাগজের ব্যালটে।
গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে এই আসন গঠিত।