সদ্য বরখাস্ত হওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত
সদ্য বরখাস্ত হওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া পরিবার নিয়ে বর্তমানে পরিবার নিয়ে রাজধানীর লালমাটিয়ার বাসাতেই অবস্থান করছেন। মার্কিন দূতাবাস ছেড়ে আসার পর তিনি আর বাসা থেকে বের হননি।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সংবাদমাধ্যমকে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, ‘মার্কিন দূতাবাস থেকে আসার পর আমি আমার বাসাতে অবস্থান করছি। বাসার বাইরে একবারও যাইনি।’
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কারণ দেখিয়ে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিন মেয়ে ও স্ত্রীসহ মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নেন এই আইন কর্মকর্তা। সেখানে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা অবস্থান করেন তিনি। পরে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে আসেন তিনি। এরপর থেকে আর বাসা থেকে বের হননি।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক ভুঞা সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি শুক্রবার রাতে এমরান আহম্মদের সঙ্গে বাসায় গিয়ে কথা বলেছেন। এমরান জানিয়েছেন যে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন না। তিনি থানায় কোনো জিডিও (সাধারণ ডায়েরি) করেননি। বাসাতেই অবস্থান করছেন।
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতিসংক্রান্ত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন এমরান আহম্মদ। শুক্রবার সকালে এমরান আহম্মদকে বরখাস্তের বিষয়টি জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এই জন্যই তো নাটক সাজিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চায়, বিষয়টি আমি দেখছি।’
এরপর নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কারণ দেখিয়ে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিন মেয়ে ও স্ত্রীসহ মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নেন তিনি।
এমরান আহম্মদ জানিয়েছিলেন, তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হাজির হয়েছেন। বন্ধের দিন হওয়ায় নিরাপত্তাকর্মীরা ভেতরে যেতে দেননি। মূল ফটকের পাশে একটি কক্ষে তাদের বসতে দেওয়া হয়।
মার্কিন দূতাবাসে যাওয়ার কারণ জানিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যে তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। তাই মার্কিন দূতাবাসে গিয়েছিলেন। তবে তার কোনো ক্ষতি হবে না, সে বিষয়ে আশ্বস্ত হয়ে বাসায় ফিরেছেন।
এমরান আহম্মদ আরও বলেন, আমার পরিবারের সঙ্গে পুলিশ পাহারা রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন।
ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিকরা জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে দূতাবাসের বাইরে থেকে একটি গাড়ি আসে। সেই গাড়িতে পরিবারসহ দূতাবাস ছেড়ে যান এমরান।