ডিএজি এমরান ও ডিবিপ্রধান হারুন।
নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা জানিয়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নিতে গিয়েছিলেন বরখাস্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া। অভিযোগ করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে তাকে। তবে এই বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা-ডিবি কিংবা পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ দেননি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শনিবার রাজধানীর মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিবি প্রধান। জানান, এমরান নিরাপত্তা শঙ্কায় আছেন এমন তথ্য ডিবির কাছে নেই। এমরান আহমেদ মার্কিন দূতাবাসে কেন গেছেন তাও তিনি জানেন না। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় অনেকেই সেখানে যান। এরমধ্যে অনেকেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে দূতাবাসে যান। অনেকেই রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার জন্য সেখানে যান। তার নিরাপত্তার কোনো শঙ্কা থাকলে থানা পুলিশ কিংবা ডিবির কাছে আসতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন ডিবিপ্রধান হারুন।
এর আগে, গেল শুক্রবার পুরো পরিবার নিয়ে মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নিতে গেছেন বলে জানান এমরান আহমেদ। সেসময় গণমাধ্যমকে তিনি জানান, তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। তার ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে গত ৪-৫ দিন ধরে অনবরত হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এমরান। জানা যায়, কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে গেছেন এমরান আহমেদ ভূঁইয়া।
এদিকে, মার্কিন দূতাবাসে এমরানের অবস্থানকে নাটক বলে আখ্যায়িত করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, এমরান যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চান। এই কারণে তিনি নাটক সাজিয়েছেন। বিষয়টি তিনি দেখবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
এর আগে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি সংক্রান্ত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন এমরান আহম্মদ। শুক্রবার বিকেলে এমরানকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দ্য বাংলাদেশ ল অফিসার্স অর্ডার, ১৯৭২–এর ৪ এর ১ অনুচ্ছেদ অনুসারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার নিয়োগ আদেশ জনস্বার্থে বাতিলক্রমে তাকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলাচিঠি পাঠিয়েছেন ১৬০ বিশ্বনেতা। এ বিষয়ে গেল ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে ডিএজি এমরান সাংবাদিকদের জানান, শতাধিক নোবেলজয়ীদের ওই খোলা চিঠির বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে এতে স্বাক্ষর করার জন্য নোটিশ করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করবেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।