নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করতে গত সপ্তাহে সৈয়দ হায়দার আলীকে নিয়োগ দিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়।
সৈয়দ হায়দার আলী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর। এই নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম। এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। সোমবার রাতে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমার চেম্বারে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এসেছিলেন। দীর্ঘক্ষণ আলাপ হয়েছে। আলাপে কর্মকর্তা বলেছেন, আমি আগে যেভাবে মামলা পরিচালনা করেছি, সেভাবেই মামলা পরিচালনা করতে। আমি কাল শ্রম আদালতে যাবো।’
এর আগে শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় আরও ১৮টি মামলা হয়েছে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। গত ২৮ আগস্ট ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ জন শ্রমিক বাদী হয়ে পৃথকভাবে মামলাগুলো করেন। শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা মামলাগুলো গ্রহণ করে আগামী ১৫ ও ১৬ অক্টোবর ড. ইউনূসকে হাজির হয়ে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মোট ২১ কোটি ৪১ লাখ ১৭ হাজার ১৬৩ টাকা পাওনা পরিশোধ না করায় শ্রম আইন ২০০৬-এর ২১৩ ধারা লঙ্ঘিত হওয়ায় এ মামলাগুলো করেন বাদীরা। গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ১৭ জন ও বর্তমান একজন কর্মচারী এসব মামলার বাদী।
জানা যায়, কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী, লভ্যাংশের ৫ শতাংশ হারে পাওনা বুঝিয়ে না দেওয়ায় এ মামলাগুলো করা হয়। তারও আগে গত ৬ জুন একটি মামলায় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন একই আদালত। ওই মামলায় অভিযোগ গঠনের পর ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সাক্ষী গ্রহণ চলছে।
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। ওই মামলাটিও বিচারাধীন।