বিস্ময়কর এক আবিষ্কারের দাবি করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষেণা সংস্থা- নাসা। জানা গেছে, এখন থেকে সৌরঝড়ের খবর ৩০ মিনিট আগেই জানিয়ে দেবে সংস্থাটি।
সৌরঝড়ের কারণে পৃথিবীতে প্রবল ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়। বড় সড় সৌরঝড় হলে অনেক ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ে রীতিমতো। তাই সৌরঝড়ের আসার আগে তার ঠিকমতো পূর্বাভাস পাওয়া জরুরি। এ নিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ দিন ধরেই গবেষণা করে চলেছেন। কীভাবে দুর্ঘটনার পূর্বাভাস ঝড় আসার বেশ কিছুক্ষণ আগে ঠিকভাবে দেওয়া যায়, তা নিয়েও চলেছে গবেষণা। দীর্ঘ গবেষণার পর এবার তাতে সাফল্য এল। নাসার বিজ্ঞানীরা তেমনটাই দবি করেছেন।
পৃথিবী যত আধুনিক হচ্ছে ততই আরও উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। এর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে উন্নতি হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার। নানা কারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কেরামতির খবর প্রায়ই জায়গা করে নিচ্ছে খবরের শিরোনামে। এবার সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকেই কাজে লাগালো নাসা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিশেষ মডেল তৈরি করেই সৌরঝড়ের সঠিক পূর্বাভাস দিতে চলেছে নাসা। এই বিশেষ মডেলের সাহায্যে পৃথিবীর বুকে ঝড় আছড়ে পড়ার ৩০ মিনিট আগে নির্ভুল খবর দিতে পারবেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ৩০ মিনিটের এই সময়টি অবশ্য পাওয়া গেছে আলোর ধর্মের জন্য। যেহেতু আলোর বেগ সৌরঝড়ের সঙ্গে আসা সূর্যের উপাদানগুলোর থেকে বেশি, তাই ৩০ মিনিট আগেই ঝড়ের খবর পাওয়া যাবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মেইল’ এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রসঙ্গত, সৌরঝড়ের কারণে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে বৈদ্যুতিন ব্যবস্থার উপরে। পাশাপাশি, রেডিও ও যোগাযোগ ব্যবস্থাও রীতিমতো বিকল করে দেয় সৌরঝড়।
৩৫ বছর আগে কিউবেকের উপর প্রভাব ফেলেছিল সৌরঝড়। ওই ঝড়ের কারণে কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুরো নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে ১৫০ বছর আগের ক্যারিংটন ইভেন্টের ঝড়ে পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ে। বৈদ্যুতিন ব্যবস্থার পাশাপাশি বিকল হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থার। ৩০ মিনিট আগে সঠিক পূর্বাভাস পেলে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।