গাজায় ইসরায়েলি সেনারা। ছবি : রয়টার্স
আবারও আলোচনায় এসেছে গাজায় দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি। ইসরায়েল বলছে, এখনই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার সময়। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে দ্বিমত করেছে ফিলিস্তিন। তারা বলছে, যুদ্ধবিরতি নয়, বরং যুদ্ধের শেষ চায় তারা। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধের শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেবে না। তারা গাজায় পুরোদমে যুদ্ধবিরতি চায়।
ইসরায়েলের দাবি, চলতি মাসের শুরুতে প্রথম যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ২ হাজারের বেশি হামাসের সেনাকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া এ সমেয়ে ১০০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এমনকি গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসংঘে রেজুলেশন পাসের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসংঘের এ রেজুলেশনের বিষয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এ ভোট চার দফায় শুক্রবার পর্যন্ত পেছানো হয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মিসরের রাজধানী কায়রোতে বুধবার আলোচনা হয়েছে। তবে তাতে কোনো ধরনের সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি কোনো পক্ষই। ফলে সমাধান ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়েছে।
এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের জাতীয় সিদ্ধান্ত হলো গাজায় পুরোপুরি যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত জিম্মি অথবা বন্দিদের নিয়ে কোনো আলোচনা নয়। হামাসের এমন অনড় অবস্থানে কঠিন বিপাকে পড়েছে ইসরায়েল সরকার।
গাজায় জিম্মিদের উদ্ধারে মিলিটারি অপারেশন চালিয়েছে ইসরায়েল তবে এতে হিতে বিপরীত হয়েছে তাদের জন্য। সবশেষ হামাসের সেনা মনে করে তিন জিম্মিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। এরপর তেলআবিবে নিহতের স্বজনেরাও বিক্ষোভ করেছে। তাদেরও চাপে পড়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।