DON'T MISS
Home » UK NEWS » Bangladesh politics » গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবারও পেছাল নিরাপত্তার পরিষদের ভোট

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবারও পেছাল নিরাপত্তার পরিষদের ভোট

ফাঁকা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন কক্ষ। ছবি : এএফপি

ফাঁকা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন কক্ষ। ছবি : এএফপি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোট আরেক দিন পেছানো হয়েছে। রেজুলেশনের খসড়ায় মার্কিন সমর্থনের ইঙ্গিতের ভিত্তিতে এ ভোট আরও একদিন পেছানো হলো। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে এ প্রস্তাবটি এ নিয়ে চারবারের মতো পেছানো হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন ভেটো ঠেকাতে বিষয়টি ভোটাভুটি বারবার পেছানো হচ্ছে। গত ৯ ডিসেম্বরের প্রস্তাবনায় প্রথম ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের তোলা এই প্রস্তাবের ওপর গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে আমিরাতের তৈরিকৃত খসড়া প্রস্তাবের ভাষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি থাকায় ভোট কয়েক দফায় পেছানো হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করতে দেনদরবার অব্যাহত রেখেছে আমিরাত। মূলত গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম নজরদাড়িতে জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি রয়েছে।

আমিরাতের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা চেষ্টা করছি, আমরা সত্যিই চেষ্টা করছি।

খসড়া প্রস্তাবে গাজায় বাধাহীনভাবে মানবিক ত্রাণসহায়তা প্রবেশের সুযোগ করে দিতে জরুরি ভিত্তিতে গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। তবে ইসরায়েল ও তাদের প্রদান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, গাজায় যুদ্ধবিরতি হামাসকে সুবিধা দেবে। এ জন্য স্থায়ী যুদ্ধবিরতি পরিবর্তে তারা সেখানে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পক্ষে। এই সাময়িক যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে চায় তেল আবিব ও ওয়াশিংটন।

অবশ্য ঐতিহ্যগতভাবেই মিত্র ইসরায়েলকে নিরাপত্তা পরিষদের যে কোনো পদক্ষেপ থেকে সুরক্ষা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের পক্ষে দুবার ভেটো দিয়েছে দেশটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*