স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মামলায় অভিযুক্ত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কের আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুরে গাড়িবহর নিয়ে নিউইয়র্কের আদালতে আত্মসমপর্ণ করতে হাজির হন তিনি। খবর: সিএনএন ও বিবিসি’র।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট গ্রেফতার হলেন। দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে আজকের দিনটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
আশা করা হচ্ছে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আজ জামিনে মুক্তি পাবেন। পরে সন্ধ্যায় তিনি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে ফিরে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে আদালতে ঢোকার আগে সমবেত গণমাধ্যমকে কোনো কথা বলেননি। এর আগে ট্রাম্প টাওয়ার থেকে তিনি গাড়িবহর নিয়ে ছয় মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ম্যানহাটান ক্রিমিনাল কোর্ট ভবন এলাকায় আসেন। ঐ এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।
আদালত ভবনে ঢোকার সময় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন তিনি। ট্রাম্পের সমর্থনে ঐ এলাকায় বিক্ষোভকারী ও তার সমর্থকেরা জড়ো হয়েছেন। তাদের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের মাথার ওপর হেলিকপ্টার চক্কর দিচ্ছে।
আদালতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হবে। এরপর আদালতে তাকে অভিযোগের বিষয়ে জানানো হবে। শুনানি শেষে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করার কথা রয়েছে। তাকে আদালত জামিন দিতে পারেন। এরপর সন্ধ্যায় তার ফ্লোরিডায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরি ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেন। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এক পর্নো তারকার মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ট্র্রাম্পের বিরুদ্ধে। তার দল রিপাবলিকান পার্টি মনে করে, মামলাটি রাজনৈতিক প্রভাবিত এবং ডেমোক্র্যাটরা এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের শারীরিক সম্পর্ক হয় ২০০৬ সালে। এটি ছিল মেলানিয়াকে বিয়ে করার পরের বছর। ২০১৬ সালে নির্বাচনের আগে ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ রাখতে আইনজীবীর মাধ্যমে ট্রাম্প ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার অর্থ দিয়েছিলেন।