DON'T MISS
Home » UK NEWS » Bangladesh politics » সঙ্কট আরো ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা

সঙ্কট আরো ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা

8158_124.jpg

নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে কেন্দ্র করে সরকারি দল ও বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো এখন মুখোমুখি অবস্থানে। হরতাল-অবরোধের মতো চূড়ান্ত পর্যায়ের কর্মসূচিতে রয়েছে বিরোধী দলগুলো। ইতোমধ্যেই রাজনীতি সঙ্ঘাতে গড়িয়েছে। ঘটেছে হতাহতের ঘটনা। সরকারের পক্ষ থেকে অসংখ্য মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান চলছে। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো নতুন করে একের পর এক কঠোর কর্মসূচি পালন করছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহল থেকে শর্তহীন সংলাপের ওপর গুরুত্বারোপ করা হলেও সরকারি দলের পক্ষ থেকে সংলাপের বিষয় নাকচ করে দেয়া হয়েছে। বিরোধী দলও এক দফা দাবির ওপর কেবল সংলাপে রাজি থাকার শর্ত দিয়ে আসছে। এই অবস্থায় দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট আরো ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুই পক্ষের অনড় অবস্থানে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। পরিস্থিতির আরো অবনতি ও জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জনদুর্ভোগ লাঘবে সঙ্কট নিরসনে সংলাপের জন্য সরকারি দলকেই উদ্যোগ নিতে হবে। নিবর্তনমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংলাপের পথ যদি রুদ্ধ হয়ে যায় তাহলে সমাধানের কোনো পথ দেখছি না। জনদুর্ভোগ কমাতে সংলাপের জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। নিবর্তনমূলক কর্মকাণ্ড থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের সময় সংঘর্ষের ঘটনার পর একদিনের হরতাল পালন এবং অবরোধ কর্মসূচিতে রয়েছে বিএনপি-জামায়াত ও অন্যান্য সমমনা দল। আগামীকাল রোববার থেকে তাদের ডাকা দ্বিতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সঙ্ঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যেই একজন পুলিশসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিরোধী দলগুলো যে দাবি জানিয়ে আসছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তা নাকচ করে সরকারি দলের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার বিরোধী দলের দাবি উপেক্ষার পাশাপাশি কঠোর মনোভাব দেখাচ্ছে। বিরোধী দলের আন্দোলন ও সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, শীর্ষ নেতা মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে গ্রেফতার করা হয়েছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*