বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থাকা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের দাবীতে হিউম্যানরাইট এ্যালায়েন্স এর উদ্যোগে বুধবার (৩০ আগষ্ট) পূর্ব লন্ডনের আলতা আলী পার্কে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে বক্তৃতাকালে যুক্তরাজ আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফ বলেন, বিএনপি এসাইলাম সিকার ও ভাড়া করা লোক নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় গিয়েছে। সেখানে মিথ্যা কথা বলেছে এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেছে, তাদের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, যারা ৭৫ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিলো, তারাই আজ মানবতার কথা বলে।
আন্তর্জাতিক গুম দিবসে হিউম্যান রাইট এ্যলায়েন্স আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেছেন বাংলাদেশের চিহ্নিত মানবতাবিরোধী অপরাধী ও তাদের দোসররা বিদেশের মাটিতে বসে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এরাই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। আজও তারা মানবতা বিরোধী অপকর্মের সাথে জড়িত।
বক্তারা বলেন, একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়ে দেশের সংবিধান লংঘন করে জেনারেল জিয়া ভোটার বিহীন হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে নিজকে দেশের প্রেসিডেণ্ট হিসেবে ঘোষনা করেন। তার সময়ে দেশে ১৯বার ক্যু হয়, কোন ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সামরিক আইনে বিচার করে দেশের হাজার খানেক সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন কারাগারে ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে হত্যা করেন জিয়াউর রহমান। আজ পর্জন্ত তাদের কারো লাশ পাওয়া যায়নি। তাদের সন্তানেরা এর বিচার চায়।
২১বছর পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতাসীন হয়ে এসব হত্যার বিচার শুরু করলে ১৯৭৫ সালে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ও ১৯৭১ এর মানবতা বিরোধীরা জোটবদ্ধ হয়ে দেশে আবার সন্ত্রাস ও মানবতা বিরোধী অপরাধের পথ বেছে নেয়।
বক্তারা ৭১এর মানবতা বিরোধী অপরাধী চৌধুরী মইনুদ্দিন এবং ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা মামলার পলাতক আসামী তারেক রহমানকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করতে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আবেদন জানান।
হিউম্যানরাইট এ্যলায়েন্স আয়োজিত সবাবেশে সভাপতিত্ব করেন মানবাধিকার কর্মি আব্দূল আহাদ চৌধুরী।জামাল খানের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সমাবেশে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ অন্যান্য মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুদ্ধাপরাধ বিচার মঞ্চের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, স্যাকুলার মুভমেন্টের প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলার পুষ্পিতা গুপ্তা, মানবাধিকার আইনজীবি ব্যারিস্টার মনিরুল ইসলাম মঞ্জু, ব্যারিষ্টার এনামুল হক, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটির সেক্রেটারী স্মৃতি আজাদ, সাংবাদিক উর্মি মাজহার, সাংবাদিক জোবায়ের আহমদ, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইট কমিশন যুক্তরাজ্য শাখার সেক্রেটারী তারাউল ইসলাম, গৌররবের ৭১ এর সেক্রেটারী মিন্টু দে, নিরাপদ সড়ক চাই এর সভাপতি সেলিম চৌধুরী-যুবনেতা শফিক আহমদ,জগন্নাথপুর এডুকেশন ট্রাষ্টের সাবেক প্রেসিডেন্ট আঙ্গুর আলী, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জালাল উদ্দিন, মারুফ চৌধুরী, নইমুদ্দিন রিয়াজ, সৈয়দ ছুরুক আলী ,ফখরুল ইসলাম মধু, সেলিম খান, হোসনে আরা মতিন, নাজমা হোসাইন, হামিদা ইদ্রিস, শাহিনা আক্তার, খালেদা কোরেশী প্রমুখ।