সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, অন্যায়-অত্যাচার, শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় কবি ছিলেন সর্বদাই সোচ্চার। তারা উভয়ই ছিলেন মানবতাবাদী, সাম্যবাদী দর্শনে বিশ্বাসী। অসম্প্রদায়িক চেতনা তারা ধারণ করতেন। ছিলেন স্বাধীন চিত্তের অধিকারী। মানুষের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে তারা ছিলেন আপসহীন। জাতীয় কবির আদর্শ ও চেতনা আমাদের জন্য সর্বদাই অনুকরণীয়, অনুসরণীয়।
সোমবার সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের দ্বিতীয় তলায় যেখানে কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সেই স্মৃতিধন্য ১১৭ নম্বর কেবিনটি জাতীয় কবির স্মরণে জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় কবির সঙ্গে জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। বঙ্গবন্ধু জাতীয় কবির লেখনী থেকে প্রেরণা নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ও কবি নজরুলের মূল আদর্শই হলো মানুষকে সেবা করা, সাম্যের গান গাওয়া। বঙ্গবন্ধুর মতই শেখ হাসিনাও নজরুল ইসলামের লেখনী থেকে প্রেরণা নিয়ে বাংলাদেশে নারী পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি খিলখিল কাজী। এ আয়োজনে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, সাংবাদিক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, মেডিসিন অনুষদের ডিন মাসুদা বেগম, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।