পাঁচ সিটির ভোটে দলীয় প্রার্থীর জয় দরকার, বিএনপিকেও রাজনীতির মাঠ দখলের সুযোগ না দেওয়া—দুই দিক চিন্তায় রেখে আওয়ামী লীগের কৌশল।
একদিকে পাঁচ সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করতে চায় আওয়ামী লীগ, অন্যদিকে বিরোধী দলের আন্দোলনের মুখে মাঠ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টায় থাকবে ক্ষমতাসীন দলটি। দুই দিকই সামলাতে হচ্ছে বলে দলটির নেতারা বলছেন।
বিরোধী দল বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি অব্যাহত রেখে মাঠে থাকবে। আর বিএনপির কর্মসূচি না থাকলে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় জোর দেবে। চলতি মে এবং আগামী জুন মাসজুড়েই রাজপথ ও নির্বাচনের মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। দলটির নেতারা বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী দল তাদের আন্দোলন আরও জোরদার করার চেষ্টা চালাবে, সেটিও বিবেচনায় নিয়ে আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে পরিকল্পনা করেছে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানিয়েছেন, চলতি মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তাদের দল এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকে আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সর্বাত্মক প্রচারে নামার নির্দেশনা দিয়েছিল। এ লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো আলাদা কমিটিও করেছে। তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নতুন করে সমাবেশ, মানববন্ধন ও পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করার পর আওয়ামী লীগের কৌশল কিছুটা পাল্টেছে। বিএনপির কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি রাখা হচ্ছে। আর দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির ফাঁকে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটির ভোটে জয় চায় দলটি। বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ছিল। কিন্তু এখন দলের এবং বিএনপিরও কিছু স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ছে এবং তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। বিশেষ করে গাজীপুর ও বরিশাল নিয়ে বেশি ভাবছে আওয়ামী লীগ।