একে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি না কি প্রকৃতির মধুর প্রতিশোধ বলা হবে? কিন্তু গোটা পৃথিবীর জন্যই এটি এক অনন্য কৌতূহলোদ্দীপক ঘটনা। উপমহাদেশের বুকের উপর বসে হিন্দু মুসলমানের ডিভাইড এন্ড রোলস পলিসির মাধ্যমে যে বৃটিশরা দুইশত বছর শাসন করেছিল আবার বিদায়ের প্রাক্কালে ধর্মের ভিত্তিতে উপমহাদেশকে বিভক্ত করে গিয়েছিল, এককালে যে সাম্রাজ্যে সূর্য অস্থ যেতনা সেই বৃটিশ সাম্রাজ্য সংক্ষিপ্ত হতে হতে এখন তাদের মূল ভুখন্ডে সীমাবদ্ধ হয়েও এখন আবার তাতে ভাঙ্গনের শব্দ। স্কটল্যান্ড এখন ইংল্যান্ড থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বৃটিশ আর স্কটিশ এক জাতি নয় তবুও দীর্ঘকাল এক দেশের অভীন্ন মানচিত্রে দুই জাতিই সহাবস্থান করে এসেছে। এখন স্কটিশদের মাঝে বেরিয়ে যাওয়ার প্রবনতা জোরদার হচ্ছে। কিন্তু ঘটনার ইউনিক দিক হলো- ইউ কের মানচিত্র অখণ্ড রাখা না রাখার ফয়সালা করার দায়িত্বে আছেন দুশ বছর শাসিত হওয়া দুই উপমদেশীয় বংশোদ্ভুত। একজন হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত বর্তমান বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং অপরজন পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার হামজা ইউসুফ। ঋষি সুনাক স্বাভাবিকভাবেই চাচ্ছেন দেশের অখন্ডতা পক্ষান্তরে হামজা চাইছেন স্কটল্যান্ডের স্বাধীন অস্থিত্ব। এই রসি টানাটানিতে জয়ী কে হবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল মাত্র পঁচাত্তর বছরের ব্যবধানেই শাসিত ভারতীয় বংশোদ্ভুতরা বসে পড়েছে ইংল্যান্ডের শাসকের আসনে এবং তারাই নির্ধারণের নেতৃত্ব দিচ্ছে ইংল্যন্ড ভাঙ্গবে না কি অখন্ড থাকবে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের।
Home » UK NEWS » Bangladesh politics » ব্রিটিশদের শাসিত এবং বিভাজিত জাতির বংশোদ্ভূতদের হাতেই কি বিভাজিত হবে ব্রিটেন