বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। পুরোনো ছবি
বিএনপির নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা পরবর্তী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে বিএনপির আজকের ঘোষণা নতুন করে এই সত্য প্রতিষ্ঠা করেছে যে, বিএনপি একটি উদারপন্থি রাজনৈতিক দল। যারা ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় আস্থাশীল হয়ে তাদের প্রতিবাদ ও আন্দোলন পরিচালনা করে থাকে।
তিনি বলেন, এই একদলীয় সরকারের দীর্ঘ ১৫ বছরের অপশাসন, মামলা-হামলা, জুলুম-নির্যাতন, দুর্নীতি-লুটপাট, আর্থিক অব্যবস্থাপনা ও বিদেশে টাকা পাচারের মাধ্যমে দেশকে নৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া করে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়ার শেষ পর্যায়ে এসে দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিএনপি আজ সরকারের ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
সাবেক মন্ত্রী ড. মঈন খান বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই যে, লাখ লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশকে এই সরকার দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এক গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনা। সেই উদ্দেশ্যেই আজ বিএনপি অসহযোগের মন্ত্রে সরকারকে দীক্ষিত করে দেশের ১৮ কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার প্রয়াসে সরকারকে সংঘাতের পথ থেকে বেরিয়ে এসে একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ উন্মুক্ত করতে দেশবাসীর প্রতি এই আবেদনের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে বিশ্বাস করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল এদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসতে পারে; যা অর্জন করার উদ্দেশ্যে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীরা আজ রাজপথে নেমেছে। বিএনপির জন্য নয়, কোনো ব্যক্তির জন্য নয়, বরং এ দেশের সব মানুষের মৌলিক ভোটাধিকার তথা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার এই সংগ্রাম অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের রাজপথের আন্দোলন চলতেই থাকবে।