DON'T MISS
Home » UK NEWS » Bangladesh politics » দাউদ ইব্রাহিমের মৃত্যু : ফ্যাক্টচেকে বেরিয়ে এলো আসল তথ্য

দাউদ ইব্রাহিমের মৃত্যু : ফ্যাক্টচেকে বেরিয়ে এলো আসল তথ্য

দাউদ ইব্রাহিম। ছবি : সংগৃহীত

দাউদ ইব্রাহিম। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আসামি দাউদ ইব্রাহিমের শরীরে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে ভারত ও পাকিস্তানের সামাজিক মাধ্যমে হইচই পড়ে যায়। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকারের টুইটার পোস্টের একটি স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়লে এই গুঞ্জন আরও জোরদার হয়। তবে তথ্যের সত্যতা যাচাই–বাছাইকারী ওয়েবসাইট ডিএফআরএসি জানিয়েছে ভিন্ন কথা। তথ্যের উৎস যাচাইয়ে দাউদ ইব্রাহিমের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেই দাবি করেছে ওয়েবসাইটটি।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, দাউদ ইব্রাহিমের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা তাকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করতে চেয়েছে তা জানা যায়নি।

পরবর্তীতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকাররের নামে একটি টুইটার (বর্তমান এক্স) অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়, দাউদ ইব্রাহিম অজ্ঞাত বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন। করাচির একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ফলে নেটিজেনদের মাঝে তার মৃত্যুর বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্যতা পায়।

তবে ডিএফআরএসি জানিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে যে স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ছে আসলে তা আনোয়ারুল হক কাকারের নয়। সেটি ভুয়া। আনোয়ারুলের মূল টুইটার অ্যাকাউন্টে এই ধরনের কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি।

দাউদ ইব্রাহিম ভারতের রাষ্ট্রসংঘের তালিকায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’। তিনি একাধিক নাশকতার সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি মুম্বাই পুলিশের এক কনস্টেবলের ছেলে এই দাউদ ইব্রাহিমকে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে বসানো হয় বলে খবর আসে।

১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে দুবাই পালিয়ে যান দাউদ ইব্রাহিম। সেখান থেকেই পাকিস্তানের আইএসআইর সংস্পর্শে আসেন। ১৯৯৩-এর ১২ মার্চ ভারতের মুম্বাইয়ে প্রাণঘাতী সিরিজ বোমা হামলায় আইএসআইকে সহায়তা করেন দাউদ। এ ঘটনার পর তিনি পাকিস্তানের করাচিতে ঘাঁটি গাড়েন। সেখানে তাকে নিরাপত্তা দেয় আইএসআই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*