DON'T MISS
Home » UK NEWS » Bangladesh politics » রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ছাড়াই সিলেট ঘুরলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ছাড়াই সিলেট ঘুরলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের ব্যক্তিগত গাড়ি। ছবি : কালবেলা

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের ব্যক্তিগত গাড়ি। ছবি : কালবেলা

রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ছাড়াই পতাকাবিহীন ব্যক্তিগত গাড়িতে সিলেট সফর করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে তিনি সিলেটে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-১ সংসদীয় আসন থেকে গতবার নির্বাচিত হয়েছেন ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন।

এর আগে একদিনের ব্যক্তিগত সফরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিমানে চড়ে সিলেট পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রটোকল ছাড়াই ব্যক্তিগত গাড়িতে তিনি নিজ বাসভবনে যান। সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীরা সৌজন্য স্বাক্ষাৎ ও কুশলাদি বিনিময় করেন।

ওইদিন রাতে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে কালবেলার সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতায় মন্ত্রী বলেন, দেশে শান্তি আছে বলেই উন্নতি হচ্ছে, দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই উন্নয়নের মহাসড়কে আমরা যাত্রা করছি। সুশীলরা গণতন্ত্র চান না। কারণ, সুশীলদের জনগণের কাছে এক পয়সা দাম নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে ‘তিনা’রা দাম পান। এই কয়দিন কাপড়-চোপড় বানিয়েছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়ে কি না? সুশীলদের কথা শুনে লাভ নেই, জনগণের কথা শুনতে হবে। আওয়ামী লীগ জনগণে বিশ্বাসী। জনগণের কাছে যেতে আমাদের অসুবিধা নেই। আমরা গণতন্ত্রের যে ধারা সেটিকে আমরা অব্যহত রাখতে চাই। আমরা অবশ্যই নির্বাচন করব। আমরা ওয়াদা করেছি, ফ্রি এন্ড ফেয়ার ইলেকশন করব।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার দিতে পারে এমন গুঞ্জনের প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো বিশেষ ভাবনা আছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। তারা আমাদের ভালোর জন্য যদি উপদেশ দেয় তবে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব। ইতোমধ্যে বলে রাখি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আসার পর আমাদের পোশাক কর্মীদের বেতন বাড়তে বাড়তে এখন সাড়ে ১২ হাজার হয়েছে। এক সময় যা ছিল মাত্র দেড় হাজার টাকা। কিন্তু যারা ক্রেতা তারা বাড়তি দাম দিতে চায় না, পারলে আরও কমাতে চায়। এ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী পোশাককর্মীদের বেতন যে শুধু বেড়েছে তাই না তাদের খাওয়া-বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। এমনকি মাতৃত্বকালীন ছয় মাসের সবেতন ছুটির ব্যবস্থা করেছেন। এ ধরনের অনেক উদাহরণ রয়েছে। সব মিলিয়ে এ সরকার শ্রমিকবান্ধব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে শ্রমিকদের শ্রমিকদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আন্ত্রর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আ্ইএলও) সঙ্গে কাজ করছি, আমেরিকার সঙ্গেও কাজ করছি। সুতরাং এ নিয়ে আমরা মেটেও চিন্তিত নই।

এরপরও যদি নিষেধাজ্ঞা আসে, অর্থনীতিতে কীরূপ প্রভাব পড়তে পারে- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, চিলে কান নিয়ে গেছে শুনেই চিলের পেছনে ছোটাছুটি বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আগে দেখেন কান আছে কিনা।

নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমাদের কোনো নির্দেশনা রয়েছে কী? কিংবা কোনো নিষেধাজ্ঞা কী আসতে পারে-এমন প্রশ্নে মন্ত্রী আরও বলেন, পশ্চিমারা নয়, আমাদের দেশের কিছু সংবাদপত্র, কিছু সুধীজন যারা কখনও মাঠে ময়দানে যান না শুধু টকশোতে যান তারাই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*