আল জাজিরা
আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ১৭: ৪৬
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে রামাল্লা শহরে বিক্ষোভ হয়। এ সময় সেখানে থাকা শিশুরা গাজায় হতাহত শিশুদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে। ৪ নভেম্বর ২০২৩ছবি: এএফপি
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার আল-ফাখুরা স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। স্কুলটিতে গাজাবাসী আশ্রয় নিয়েছিলেন। বর্বরোচিত এই হামলায় যাঁরা বেঁচে গেছেন, তাঁরা এখনো আতঙ্কিত।
ওই হামলায় আহত মেয়েকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে এসেছেন এক মা। তিনি আল–জাজিরাকে বলেন, ‘আমি তখন বাচ্চাদের ডিম খাওয়ানোর চেষ্টা করছিলাম। তারা অনেক দিন ধরে অভুক্ত। অনেক কষ্ট করে কিছু খাবারের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু স্কুলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলো। এতে আমার মেয়ে আহত হয়েছে।’
আরেক নারী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কক্ষের এক কোনায় বসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে গোলাবর্ষণের পরে আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা ছিল না। অগত্যা জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে এসে আশ্রয় নিই। ভেবেছিলাম স্কুলটি অন্তত নিরাপদ হবে। কিন্তু এখন দেখছি কোনো জায়গাই আর নিরাপদ নয়। স্কুলেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই নারী বলেন, ‘এখানে খাবার, পানি ও বিদ্যুৎ—কিছুই নেই। আমাদের সন্তানেরা না খেয়ে থাকছে। আমরা প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া হয়ে এখানে–সেখানে ছুটে বেড়াচ্ছি। আমাদের ওপর বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এভাবে আমাদের অভুক্ত শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে তারা। যারা বেঁছে আছে তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমাদের অভুক্ত শিশুদের রক্ত ঝরছে। আর গোটা বিশ্ব সেটি দেখছে।’