DON'T MISS
Home » UK NEWS » Bangladesh politics » এবার দেশে-বিদেশে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে : মির্জা ফখরুল

এবার দেশে-বিদেশে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে : মির্জা ফখরুল

পেশাজীবী কনভেনশনে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। ছবি : কালবেলা

পেশাজীবী কনভেনশনে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

আগামীতে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে এইবার দেশে-বিদেশে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক পেশাজীবী কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি।

সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ একদফা দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদসহ কয়েকটি পেশাজীবী সংগঠনের উদ্যোগে এই কনভেনশন হয়।

nagad

একদফার চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দুই বছর ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছি। ২২ জনের প্রাণ গেছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মানে এই না যে, কেউ আঘাত করলে তার প্রত্যাঘাত করব না।

তিনি বলেন, এই বার দেশে-বিদেশে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এর একটিমাত্র কারণ এবং তা হচ্ছে- তারা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়।

গত সোমবার (২ অক্টোবর) লন্ডনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

এ প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান দখলদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লন্ডনে দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেছি, নিন্দা জানিয়েছি। তার বক্তব্য ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়- এ কথা বলেছি। তবে এ বক্তব্য থেকে যেটা বের হয়ে এসেছে তা হলো- এ দেশে যা কিছু ঘটে তার ইঙ্গিতেই ঘটে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা লন্ডনে বলেছেন যে, যেদিন তাকে ক্যান্টনমেন্ট ঢুকতে বাধা দেয়া হয়েছিলো সেদিনই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন- কোনোদিন যদি সুযোগ পান, তাহলে খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে উচ্ছেদ করবেন এবং করেছেন। এখানে বিচার বিভাগের প্রয়োজন নেই। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রয়োজন নেই। তার (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্তই সিদ্ধান্ত।

বিএনপি মহাসচিব ছোটবেলায় তার পিতার কাছ থেকে শোনা ফার্সি সাহিত্যের একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলেন, আমাদের ভাইদের মধ্যে যখন মারামারি হতো, তখন বাবা বলতেন- তোমরা কী করছ! হাম সু দিগা নিস্ত- আমি হচ্ছি অদ্বিতীয়। এখন ভাবে মনে হয়- শেখ হাসিনা অদ্বিতীয় হয়ে গেছেন। তাহলে সিজারের মতো ঘোষণা করে দেন যে, ‘আই এম দ্যা এমপেরর (আমিই সম্রাট)।

তিনি বলেন, তার (শেখ হাসিনা) পুরোটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং এক ধরনের ঔদ্ধত্য- এ দেশ আমার, আমার ও আমার।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ দেশে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে। এর বাইরে কোনো নির্বাচন হবে না। অবিলম্বে গণদাবি মেনে পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা গঠন করার ব্যবস্থা নিন। তারপরই কেবল নির্বাচনের প্রশ্ন আসবে, তার আগে নয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকারের দুর্নীতির কারণে দেশ চোরাবালিতে তলিয়ে গিয়েছে। পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, অ্যাডভাকেট কামরুল ইসলাম সজল ও কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের যৌথ সঞ্চালনায় এতে পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

কনভেনশনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*