DON'T MISS
Home » Bangladesh » নয়াপল্টনে কাঁদলেন ফখরুল

নয়াপল্টনে কাঁদলেন ফখরুল

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কথা বলতে গিয়ে সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সামনে কেঁদে ফেললেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া অনেক বেশি অসুস্থ, চিকিৎসকরা বলেছেন, তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। বাংলাদেশে আর তার চিকিৎসা নেই। তাকে বিদেশে না নিলে বাঁচানো দুষ্কর হতে পারে।’ 

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসায় বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই সমাবেশ হয়। 

nagad

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) আমি তাকে (খালেদা জিয়া) দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, আপনাদের (বিএনপি) যদি কিছু করার থাকে, করেন। দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। তার যদি কোনো ক্ষতি হয়, শুধু নেত্রীর ক্ষতি হবে না, দেশের বড় ক্ষতি হবে।’

মার্কিন স্যাংশন নিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু মার্কিন স্যাংশন নয়, এ দেশের মানুষ এখন স্যাংশন দিচ্ছে এই সরকারকে। এ দেশের মানুষ পরিষ্কার ভাষায় একবাক্যে বলছে, এখন অনেক হয়েছে, অনেক অত্যাচার করেছো, নির্যাতন করেছ, কারাগারে আটক করেছ আমাদের নেতাদের, আমাদের মাকে। আর আমরা সেটা হতে দেব না। এজন্য আমরা আন্দোলন করছি। এখনো সময় আছে, এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা ভেবে নিয়ে আপনারা পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন দিয়ে এই রাজনৈতিক সংকট দূর করুন। অন্যথায় সকল দায়-দায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আপনারা যতই চেষ্টা করেন এই দেশের মানুষকে আর ঘরে ফেরাতে পারবেন না। আমরা শান্তিপূর্ণ আছি, শান্তিপূর্ণ থাকব, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করে যাব এবং আশা করব, এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের কথা শুনে শেখ হাসিনার শুভবুদ্ধির উদয় হবে, পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দেবেন। তা যদি না হয়, বাংলাদেশের মানুষ জানে কী করে দাবি আদায় করতে হবে। এদেশের মানুষ এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। টেনেহিঁচড়ে আপনাদের নামাবে। এটা আপনাদের জন্য ভালো হবে না।’

মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আজকে গায়ের মধ্যে আগুন লেগেছে। অনেক হাঁকডাক করে আমেরিকা গেছেন। ভেবেছেন, ওখানে গিয়ে বাইডেনের (যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট) সঙ্গে পরিবারকে নিয়ে ছবি তুলে একটা সুরাহা বোধহয় করা যাবে। গেছে করা? উনি যখন আমেরিকায় বসে আছেন, ওই সময়ে আমেরিকার থেকে ভিসানীতি কার্যকর করা হলো। পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, এই নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিপক্ষে যারা দাঁড়াবে, যারা অতীতে দাঁড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরও বলেন, একটা সার্বভৌম দেশ ও জাতির জন্য যারা আমরা যুদ্ধ করেছি তাদের জন্য এটা খুব সন্মানজনক নয়। এই অসন্মান কে বয়ে আনলো? এই অসন্মান বয়ে এনেছে এই ভয়াবহ দানবীয় আওয়ামী লীগ সরকার। আজকে শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকবার জন্য, তারা একদলীয় শাসনকে পাকাপোক্ত করতে গিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধবংস করে দিয়ে মানুষের সমস্ত অধিকারগুলো কেড়ে নিয়ে আজকে তারা জোর করে আবার একটা নির্বাচন করতে তৎপর।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*