বর্তমান সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে বলে আবারও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি স্তম্ভের মধ্যে বিচার বিভাগ অন্যতম; যেটা অভিভাবকের ভূমিকা পালন করে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজ সেই স্তম্ভ ধ্বংসের পথে। বিচার বিভাগ হচ্ছে শেষ আশ্রয়স্থল। সংবিধানে, সংসদে কোনো সমস্যা হলে, রাষ্ট্র দ্বারা জনগণ নির্যাতিত হলে তখন বিচার বিভাগের কাছেই যাওয়া হয়। সেই জায়গা যদি দলীয়করণ হয়, নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে একটা রাষ্ট্র টিকে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ প্রশ্নটা শুধু গণতন্ত্রের নয়, প্রশ্ন হচ্ছে রাষ্ট্রের অস্তিত্বের। এরা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশকে যেদিকে নিয়ে যাচ্ছে, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছে, যে করেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে। যেটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর। আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগ দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল গতকাল ঠাকুরগাঁওয়ে ৩১ নেতা–কর্মীকে জেলে পাঠানোর ঘটনার উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এখন কথায় কথায় বিচার বিভাগ জামিন বাতিল করে দিচ্ছে। কালকে ঠাকুরগাঁওয়ে ৩১ জনকে জজকোর্ট জেলে পাঠিয়েছেন। কেন? তারা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে। নিম্ন আদালত তাদের অস্থায়ী জামিন দিয়েছে। দু–তিনটি তারিখ যাওয়ার পর গতকাল যখন তারা স্থায়ী জামিনের জন্য গেছে, তখন সেটাকে বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছে। অথচ তারা জামিনের কোনো শর্ত ভঙ্গ করেনি।’
ফখরুল বলেন, ‘এটাই সারা দেশে হচ্ছে, ঢাকায়ও হচ্ছে। বিষয়টি অ্যালার্মিং। উচ্চ আদালতও আজকে সব সময় নিরপেক্ষ থাকতে পারছেন না। যার কারণে এ ঘটনাগুলো ঘটছে।’