কেয়ার ভিসায় যুক্তরাজ্যে আসার পর হোম অফিসের চালু করা জেনুইননেস টেস্টের আওতায় বিমানবন্দরে ইন্টারভিউ’র মুখোমুখি হচ্ছেন অনেকে। গত ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর করার পর ব্রিটেনের ইমিগ্রেশন আইনে ইমিগ্রেশন অফিসারকে দেওয়া প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাদের কাগজপত্রের সঙ্গে বিমানবন্দরে আসার পর নেওয়া ইন্টারভিউ’য়ে অসঙ্গতি থাকার কারণ দেখিয়ে পরবর্তী এভেইলেবল ফ্লাইটে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশিও আছেন।
কেয়ার ভিসায় বিমানবন্দরে সাক্ষাতকারে কি কি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন নবাগতরা, এ নিয়ে ব্রিটেনের বাংলাদেশি কমিউনিটির দুই জন স্বনামখ্যাত ব্যারিস্টার চ্যান্সেরি সলিসিটরসের ব্যারিস্টার মো. ইকবাল হোসেন ও লেক্সপার্ট সলিসিটরসের ব্যারিস্টার শুভাগত দে’ বলেন, নতুন যারা কেয়ার গিভার ভিসায় আসবেন, যারা অলরেডি ভিসা পেয়েছেন বা আবেদন করবেন তাদের কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।
স্বপ্নের লন্ডনে আসতে গিয়ে যেন বিরাট অর্থের ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। ইতোমধ্যে কেয়ার ভিসায় আসা কয়েক হাজার মানুষ বেকার। তাই নিয়োগদাতার কাছ থেকে কাজের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন তারা। পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে অভিজ্ঞতার অসঙ্গতিপূর্ণ সার্টিফিকেট ব্যবহার করে আবেদন করেছেন বা করতে যাচ্ছেন কিংবা ভিসা পেয়ে গেছেন তাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা।
আসার আগে কেয়ার গিভার ভিসা সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিতে প্রয়োজনে ইউটিউব ও গুগল থেকে কেয়ার ভিসা ও কেয়ারারের কাজ সম্পর্কে সব তথ্য জানা সম্ভব।
যে কোম্পানির কাজ নিয়ে আসবেন সেই কোম্পানির নাম ও বিস্তারিত কার সঙ্গে ইন্টারভিউ হয়েছে ও আবেদনকারীর কাজের বিস্তারিত জানা থাকতে হবে।
যুক্তরাজ্যের এয়ারপোর্টে নামার পর ইন্টারভিউতে বেসিক লাইফ সাপোর্ট, পারসন সেন্টারর্ড সাপোর্ট,পজিটিভ বিহেইভিয়ার, ফুড হাইজিন, সেফগার্ডিং অ্যাওয়ারনেস, সেফ মুভিং অ্যান্ড হ্যান্ডলিং, ডাটা প্রটেকশন ও জিডিপিআর, কশ, ম্যানুয়াল হ্যান্ডেলিং, এমসিএ ও ডিওএলএস, ইনফেকশন প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ, হেলথ ও ফায়ার সেফটি, ফ্লুইড ও নিউট্রেশন সম্পর্কিত সচেতনতা, কাজের জায়গায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, সাম্য ও পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন ইমিগ্রেশন অফিসার। এ সকল বিষয় কেয়ার কোর্সের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত।
এ সব প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে এয়ারপোর্ট থেকে ফেরৎ যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, কেয়ার ভিসায় যুক্তরাজ্যে এসে কর্মহীন অবস্থায় অন্তহীন দুর্ভোগে দিন কাটছে কয়েক হাজার নতুন অভিবাসীর। মাসের পর মাস কাজ না পেয়ে মানবেতর দিন কাটছে তাদের। অনেকে পরিবার নিয়ে রাত যাপনের জন্য আশ্রয় খুঁজছেন দোকানপাট ও মসজিদে।
এ অবস্থায় হোম অফিস বেশ কয়েকটি কেয়ার হোমের লাইসেন্স বাতিল করেছে।