বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে থাকলেও এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এ দামও এখানেই থামবে তার কোনো ইঙ্গিতও এখনও পাওয়া যাচ্ছে না।
১ ঘন্টা আগে
এছাড়া প্রতিকেজি বেগুন (বড় আকারের) বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে এই পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি জানান দিচ্ছে নতুন শঙ্কার কথা। দোকানিরা বলছেন, আরও বাড়তে পারে পেঁয়াজের ঝাঁঝ। ৫০ টাকার নিচে মিলছে না সবজি। ডিমের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় না বাড়লেও কমেনি।
আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মিরপুর, শনিরআখড়া, ডেমরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সবজির বাজারে দেখা গেছে, ফুলকপি ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, মরিচ ১৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা ও প্রতিটি লাউ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া পুঁইশাক ৩০ টাকা কেজিতে, কলমি শাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙাসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। ছোট আকারের পাঙাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এ ছাড়া ইলিশ মাছ কেজিপ্রতি এক হাজার টাকা, রুই মাছ ৪০০ টাকা, কই মাছ ২৫০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৪০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ৩৮০ টাকায়, সোনালী মুরগি ৩৫০ টাকা আর দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় আর খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৮০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে
কথা হয় বাজারে আসা এক ক্রেতার সাথে। তিনি বলেন, পণ্যের দাম বোধহয় আর কখনো কমবে না। এভাবে চললে সামনে বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে যাবে। সব কিছুর দাম তো শুধু বেড়েই চলেছে। আমাদের মতো সাধারণ জনগণের কথা কেউ ভাবে না। এইযে দাম বাড়ছে, কিন্তু আমাদের আয় রোজগার তো বাড়ছে না। বেতনের বেশিরভাগ টাকা যদি এখানেই যায়, তাহলে চলব কী করে?