একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর তার প্রতি সমবেদনা জানাতে দেখা গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মীকে। একইভাবে সমবেদনা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন জনপ্রতিনিধি, পুলিশ সদস্য ও প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের এসব কর্মকাণ্ডে হতবাক মানুষ। প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই- ছাত্রলীগ, পুলিশ-প্রশাসনে হঠাৎ এত সাঈদীভক্ত এলো কোথা থেকে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত সাঈদীর মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ায় ছাত্রলীগ, তাঁতী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন শিক্ষক ও পুলিশ কর্মকর্তাও। মামলা হয়েছে জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী শোক প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি আমাকে অবাক করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ওপেন ডোর পলিসি বন্ধ করতে হবে। দলে লোক ঢুকানোর সময় অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে ঢোকাতে হবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, দলে হাইব্রিড নেওয়ার চেয়ে, দল কর্মীশূন্য থাকা ভালো। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মানতে হবে। সাঈদীভক্ত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
বিচারপতি মানিক আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর মৃত্যুর পর পুলিশ ও প্রশাসনের কিছু লোকও শোক প্রকাশ করেছে। এটা তাদের চাকরিবিধির লঙ্ঘন। সরকারি চাকরি করে তারা কখনোই একজন স্বাধীনতাবিরোধীর পক্ষে অবস্থান নিতে পারে না। এদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।