মির্জা আব্বাসফাইল ছবি
ভোট কী জিনিস, দেশের মানুষ তা ভুলতে বসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম গত দুটি জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। তারা বলতেও পারবে না ভোট দেখতে কেমন, গোল না লম্বা। এই সরকার এখন দেশের মানচিত্র নিয়েও ছিনিমিনি খেলছে।
আজ বুধবার রাজধানীর বাসাবোয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। ‘গায়েবি মামলায় নির্বিচার গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং ও দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে’ বিএনপি এই পদযাত্রার আয়োজন করে।
মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকারের স্মৃতিভ্রম রোগ হয়েছে। লুটপাট কীভাবে হচ্ছে, তারা ভুলে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক লুট হয়ে গেল। আরেক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে গেল। নিশিরাতে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে, সেটাও ভুলে গেছে এই সরকার।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গিয়ে কিছু আনতে পারেননি, তাই এখন বিদেশিদের সঙ্গে যুদ্ধ করবেন। আমেরিকার থেকে কিছু নেবেন না। কিন্তু আমেরিকা যদি বলে, বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক নেব না, তখন পোশাক কারখানাগুলোর কী অবস্থা হবে?
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভোট চুরি কত প্রকার, তা দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ। তিন ধরনের চুরি আছে। সিঁদেল চুরি, ছিঁচকে চুরি আর আওয়ামী লীগের চুরি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবাবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বাসাবো বালুর মাঠ থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। ঢাকা হোটেল, তিলপাপাড়া, খিলগাঁও চৌরাস্তা, খিলগাঁও মডেল কলেজ, তালতলা সুপার মার্কেট হয়ে মালিবাগ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে গিয়ে পদযাত্রা শেষ হয়। এ সময় পুরো সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিটি মোড়ে সাঁজোয়া যান, জলকামান নিয়ে পুলিশ সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।