অভিযোগ শুনে তদন্ত কমিটি করেছে বন বিভাগ। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।
বান্দরবানের লামা উপজেলায় ম্রো জনগোষ্ঠীর সংরক্ষণে থাকা একটি প্রাকৃতিক বন থেকে অবৈধভাবে দুই দশক ধরে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ‘ব্যক্তি মালিকাধীন’ বাগানের কথা বলে গাছ কাটা হলেও গোষ্ঠীবদ্ধ পাড়াবাসীর অধীনে থাকা এমন বন কারোর বিক্রির সুযোগ নেই।
উপজেলার সরই ইউনিয়নের লেমুপালং মৌজায় ১৩টি ম্রো পাড়াবাসীর অভিযোগ, মৌজার পূর্বে কালা পাহাড়, পশ্চিমে পালং খাল, উত্তরে উপর শীলঝিরি ও দক্ষিণে বমু খাল সীমানা চৌহদ্দির কাটা গাছ টানা হচ্ছে হাতি দিয়ে। সেই হাতির বিষ্টায় দূষিত হয়ে পড়েছে পাহাড়িদের পানীর জলের উৎস ঝিরি। দূষিত পানি পান করে এরই মধ্যে চার শিক্ষার্থী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।
তবে ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও কাঠ ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘জোত-পারমিটের’ মাধ্যমে মৌজাপ্রধান হেডম্যানের কাছ থেকে ওই বাগান আজীবনের জন্য কেনা হয়েছে এবং বৈধভাবেই গাছ কাটা হচ্ছে এবং হাতি দিয়ে কাঠ টানা হচ্ছে।
হেডম্যান গাছ বিক্রি করতে পারেন না’
লেমুপালং মৌজা বেশ দুর্গম এলাকায়। জেলা শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে সুয়ালক-লামা সড়কের পাশে সরই ইউনিয়ন। সরইয়ের কেয়াজু বাজার থেকে ১২ কিলোমিটার পূর্বে এই লেমুপালং মৌজার এলাকা। এটি সরই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে।
পাড়াবাসীর অভিযোগ, দুই দশকের বেশি সময় ধরে এখান থেকে গাছ কেটে নিচ্ছেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার মোরশেদ আলম চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটির সদস্য। তার বড় ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম।
কথিত চুক্তির কথা বলে মোরশেদ আলমের লোকজন এই গাছ কাটছে বলে অভিযোগ করেছেন ম্রোরা। একসময় লেমুপালং মৌজার হেডম্যান ছিলেন চন্টু ম্রো। তিনি নিরক্ষর ছিলেন। বলা হচ্ছে, তার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে আজীবনের জন্য এই চুক্তিপত্র তৈরি করা হয়েছে।
চন্টু ম্রোর ছেলে কাইনওয়াই ম্রো এখন লেমুপালং মৌজার হেডম্যান।
লেমুপালং মৌজা বেশ দুর্গম এলাকায়। জেলা শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে সুয়ালক-লামা সড়কের পাশে সরই ইউনিয়ন। সরইয়ের কেয়াজু বাজার থেকে ১২ কিলোমিটার পূর্বে এই লেমুপালং মৌজার এলাকা। এটি সরই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়েছে।
পাড়াবাসীর অভিযোগ, দুই দশকের বেশি সময় ধরে এখান থেকে গাছ কেটে নিচ্ছেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার মোরশেদ আলম চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটির সদস্য। তার বড় ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম।
কথিত চুক্তির কথা বলে মোরশেদ আলমের লোকজন এই গাছ কাটছে বলে অভিযোগ করেছেন ম্রোরা। একসময় লেমুপালং মৌজার হেডম্যান ছিলেন চন্টু ম্রো। তিনি নিরক্ষর ছিলেন। বলা হচ্ছে, তার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে আজীবনের জন্য এই চুক্তিপত্র তৈরি করা হয়েছে।
চন্টু ম্রোর ছেলে কাইনওয়াই ম্রো এখন লেমুপালং মৌজার হেডম্যান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বনের গাছ না কাটার জন্য মোরশেদের লোকজনকে নিষেধ করা হলেও তারা আমার বাবার সঙ্গে একটা চুক্তির কথা বলে। কিন্তু কী চুক্তি, কত বছরের চুক্তি আমি বা আমরা কিছুই জানি না। অনেকবার নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু আমলে নেয় না।“