‘আমি মরে গেছি। আমাকে তারা বার বার মারার চেষ্টা করছে। এক মেয়েকে ধর্ষণ শেষে হত্যার ঘটনার ক্ষত এখনো শুকায়নি। এখন আবার আমার ছোট মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে শয়তানের দল। আমি শেষ হয়ে গেছি।’ এভাবে কথাগুলো বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন লোকমান হোসেন নামের এক গ্রাম পুলিশ বাবা।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় গ্রাম পুলিশ লোকমান হোসেনের ভাটরা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুকন্যাটি মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হলে দুই যুবক জমাদ্দার বাড়ির পাশের সুপারির বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে। এ সময় শিশুর চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
পরে ভুক্তভোগী ওই শিশুকন্যা ঘরে এসে তার মা ও বড় বোনদের ঘটনার বর্ণনা দেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী শিশুকন্যার বাবা গ্রাম পুলিশ লোকমান হোসেন বাদী হয়ে বাউরখাড়া গ্রামের মন্দার বাড়ীর আবদুল হান্নানের ছেলে শাহরিয়ার আলম (২০) ও মোহাম্মদপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির আবদুর রহিমের ছেলে রবিন হোসেন (২১) নামের দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার ভিত্তিতে মঙ্গলবার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাহরিয়ার আলম ও রবিন হোসেনকে গ্রেপ্তার করে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা লোকমান হোসেন জানান, ২০২১ সালে আমার বড় মেয়েকে (১৪) একই ইউনিয়নের বাউরখাড়া গ্রামের মন্দার বাড়ির হারুন মিয়ার ছেলে মো. বাহার হোসেন জোরপূর্বক ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ হত্যা করে। এ ঘটনায় আমি রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ বাহার হোসেনকে আটক করে। এ ঘটনায় জেলে রয়েছে বাহার মিয়া। আমার সেই ক্ষত না শুকাতেই মঙ্গলবার রাতে আমার ছোট মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বখাটেরা। বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি রামগঞ্জ থানায় মামলা করতে বলেন। আমি এ ঘটনায় উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।
রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী রামগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ বুধবার লক্ষ্মীপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।