DON'T MISS
Home » UK NEWS » Bangladesh politics » দেশের মানুষকে আ.লীগ ভেড়ার পাল বানাতে চায় : গণতন্ত্র মঞ্চ

দেশের মানুষকে আ.লীগ ভেড়ার পাল বানাতে চায় : গণতন্ত্র মঞ্চ

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। ছবি : সংগৃহীত

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষকে আওয়ামী লীগ ভেড়ার পাল বানাতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ লড়াই করে তার সমস্ত বিজয় নিয়ে এসেছে। কাজেই আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র টিকবে না। 

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহবান নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ এসব কথা বলেন নেতারা। 

রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী। সমাবেশ পরিচালনা করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সদস্য সাইফুল্লাহ হায়দার। সমাবেশের পর গণসংযোগের উদ্দেশে মিছিলটি প্রেস ক্লাব থেকে পল্টন হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। 

গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ থেকে ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা জারি রেখে বলা হয়, দেশ একটা ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী নিজেও সে কথা জানেন। এ জন্যই তিনি দুর্ভিক্ষের কথা বলছেন। দেশে যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হতে যাচ্ছে তা সামাল দিতে তিনি পারবেন না, সেটা জানেন। এরই মধ্যে লোপাটকৃত ৯২ হাজার কোটি টাকার গরমিল সামনে এসেছে।

নেতারা আরও বলেন, সংবিধানের কথা বলে যারা ভুয়া নির্বাচন ও প্রহসনের নির্বাচন করছেন তারা জনগণের চোখে ধুলা দিতে পারবেন না, কেননা সংবিধানের ১২৩নং আর্টিকেলের খ-তে এখনো সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করার পরিস্থিতি আছে। নতুন অধিবেশন ডেকে এরপর আরও সে সময় থেকে ৯০ দিন পর নতুন নির্বাচন দেওয়া যাবে। কাজেই সংবিধানের দোহাই খাটে না।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এই নির্বাচন স্থগিত করে, তপশিল বাতিল করে এবং সমস্ত আন্দোলনকারী শক্তির সাথে বসে নতুন নির্বাচনের আহবান জানান। 

তারা বলেন, একদিকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য গণতন্ত্র মঞ্চ যেমনি লড়বে তেমনি সেই রক্ষার ভিত্তি হবে ৩১ দফা। এই ৩১ দফায় রাষ্ট্র ও শাসনব্যবস্থা সংস্কারের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। বাংলাদেশকে জাতীয় ভয়ঙ্কর সংঘাতময় পরিস্থিতি এবং গণতন্ত্রহীনতা থেকে উদ্ধার করতে হলে নতুন এই বন্দোবস্তের বিকল্প নাই। 

নেতারা বলেন, এরা (আওয়ামী লীগ) দেশে যা খুশি তাই করছে। নির্বাচন নিয়ে করছে নাটক ও তামাশা। এখন নির্বাচনী নাটকে কে কে অভিনয় করবে সেটা শেখ হাসিনা একাই ঠিক করেছেন। ডামি প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিদ্রোহী ও নৌকার প্রার্থী এরপর নাটকটা হবে। এ রকম খেলা খেলতে যদি এভাবেই একতরফা ভোট সম্পন্ন করেন জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না।

ইনু মেননের রাজনীতি শেষ, স্বতন্ত্র রাজনীতি বলে কিছু নাই উল্লেখ করে নেতারা বলেন, তারা নৌকা ছাড়া এমনকি নির্বাচনও করতে পারছে না। বাংলাদেশের মানুষকে আওয়ামী লীগ ভেড়ার পাল বানাতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ লড়াই করে তার সমস্ত বিজয় নিয়ে এসেছে। কাজেই আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র টিকবে না। জনগণ আন্দোলন করে এমন ব্যবস্থা কায়েম করবে যাতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়, জনগণ বাজারে ন্যায্যমূল্যে তার সমস্ত জিনিসপত্র কিনতে পারে। আজকের এই দুঃশাসন থাকবে না। জনগণ জনসমুদ্রের মতো গণঅভ্যুত্থান করে এদের পতন ঘটাবে। 

সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আজকে গোটা জাতির মধ্যে বিষবাষ্প যারা ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে জয়লাভ করবেই। নির্বাচনের নামে খেলা, ভোটের খেলা; যেটাই খেলছে সরকার। টিকবে না। মুক্তিযুদ্ধের সাথে বিশ্বাসঘাতকতাকারী, গণতন্ত্রের কবর রচনাকারী শেখ হাসিনার পতন হবেই হবে।

সমাবেশে জাতীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ। 

সমাবেশ শেষে আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও গণসংযোগ-মিছিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*