চট্টগ্রাম জেলার ম্যাপ।
প্রেমঘটিত ‘ঝামেলা’ নিয়ে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পর চট্টগ্রামে মিনজহাজুল ইসলাম রাফি নামের এক তরুণ আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে পরিবার।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে নগরের লালখানবাজার ট্যাংকির পাহাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাফি নগরের একটি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ট্যাংকির পাহাড় এলাকার অটোরিকশাচালক মো. মামুনের ছেলে।
পরিবারের অভিযোগ, থানায় ডেকে নিয়ে ‘মানসিক নির্যাতন আর টাকা দাবির’ ঘটনায় ‘অপমানে’ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে রাফি।
তবে পুলিশ বলছে, জিডির তদন্তের স্বার্থে রাফিকে থানায় ডাকা হয়েছিল। তাকে তদন্তসংশ্লিষ্ট প্রশ্ন করা হয়েছে। কোনো টাকা দাবি করা হয়নি। কোতোয়ালি থানায় গত ৯ ডিসেম্বর জিডি করেছিলেন এক তরুণী। ওই জিডির বিষয়ে রাফি ও তার মা-বাবাকে সেই থানায় ডাকেন পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান হোসেন।
রাফির মা রানু বেগম অভিযোগ করেন, বুধবার বিকেলে পরিদর্শক আরমান ফোন করে থানায় ডাকেন। সন্ধ্যার আগে তারা থানায় যান। বেশ কিছুক্ষণ থানায় বসিয়ে রাখার পর তার ছেলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় পুলিশ। এরপর পরিদর্শক আরমান ২ লাখ টাকা চান। পরে বুধবার রাত ১০টার দিকে রাফি রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
পরিদর্শক আরমান বলেন, তদন্তের স্বার্থে রাফিকে ডাকা হয়েছিল। এমন না যে তাকে আমরা ধরে নিয়ে এসেছি। তার বাবা-মাও সঙ্গে ছিল। থানায় বাবা-মার সামনে ছেলেটি সব স্বীকার করছে। ছেলেটি কিছু ছবি ডিলিট করেছে, কিছু ছবি মোবাইলে ছিল। তদন্তের স্বার্থে তার মোবাইলটি জব্দ করা হয়েছে। তার বাবা-মা বিষয়টি জানতে পেরে অনুশোচনা করেছে।
লাশ উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবুর রহমান বলেন, আত্মহত্যার খবর পেয়ে রাতে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।