মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা একটি রকেট। ছবি : এপি
প্রযুক্তির কল্যাণে একের পর এক অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার রকেটের জ্বালানি হিসেবে গোবরের গ্যাসকে ব্যবহার করতে যাচ্ছেন জাপানের একদল বিজ্ঞানী। এমনকি তারা স্পেসপোর্টে কসমস ইঞ্জিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাও সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, অবিশ্বাস্য এ পরীক্ষাটি চালিয়েছে ইন্টারস্টেলার টেকনোলজিস নামে জাপানের একটি স্পেস স্টার্টআপ কোম্পানি। এজন্য তারা গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষাও চালিয়েছে। উদ্ভাবনী এ পরীক্ষায় তারা রকেটটির জ্বালানি হিসেবে মিথেন গ্যাসের ব্যবহার করেছেন। যা রকেট প্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির বহিঃপ্রকাশ।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বায়ুদূষণ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে মহাকাশ গবেষণায় দূষণমুক্ত রকেট উৎক্ষেপণের অনন্য নজির স্থাপন করেছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। পরীক্ষার সময় রকেট ইঞ্জিনকে ১০ সেকেন্ডের জন্য গোবর গ্যাস দিয়ে চালু করে ১০ সেকেন্ডের একটি নীল শিখা তৈরি করেছে।
জাপানের আগে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি গোবরের জ্বালানি দিয়ে রকেট ইঞ্জিন তৈরি করেছিল। তবে বেসরকারি খাতে ইন্টারস্টেলার টেকনোলজিস প্রথমবারের মতো এমন উদ্ভাবন করেছে। পরীক্ষায় রকেট জ্বালানি হিসেবে বায়োমিথেনের কার্যকারিতা প্রদর্শিত হয়েছে।
গত ৭ ডিসেম্বর ইন্টারস্টেলার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, টোকিও ইউনিভার্সিটি, JAXA স্পেস ইনোভেশনের সঙ্গে নতুন এ রকেটের ডিজাইন করেছে। উচ্চশক্তির এ রকেটের ডিজাইনে যন্ত্রাংশও প্রচলিত ইঞ্জিনের চেয়ে এক-দশমাংশ কমিয়ে আনা হয়েছে। যার ফলে রকেটের উৎপাদন খরচ সামগ্রিক ব্যয়ের অর্ধেক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইন্টারস্টেলার টেকনোলজিস জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য হলো এ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর নিম্নকক্ষে সফলভাবে স্যাটেলাইট স্থাপন করা। এজন্য রকেটের জ্বালানি হিসেবে স্থানীয় দুগ্ধ খামারের গোবরের বায়োমিথেন ব্যবহার করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছে, গবাদিপশুর মলমূত্র থেকে বিশ্বে গ্রিস হাউসের ক্ষেত্রে ১৪ শতাংশ গ্যাস আসে। মিথেনের উৎসই এটি। সঠিকভাবে এ গ্যাসটি ব্যবহার করা হলে রকেট উৎক্ষেপণের কাজে দূষণ অনেক কমবে।