ছবি : সংগৃহীত
যুদ্ধের ময়দানে প্রতিদিনই সক্ষমতা দেখাচ্ছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে নতুন নতুন অস্ত্র ব্যবহারের পাশাপাশি, দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। এতে অবাক হচ্ছেন সমর বিশ্লেষকরা।
এ বিষয়ে ইসরায়েলি সমর বিশ্লেষক ইয়োভ জিতুন এক নিবন্ধে লিখেছেন, লড়াইয়ের ময়দানে হামাস প্রতিদিনই সক্ষমতা দেখিয়ে যাচ্ছে। তাদের শক্তিমত্তা দেখে অবাক হয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
ইসরায়েলকে চলতি ডিসেম্বরের শেষ, কিংবা জানুয়ারির শুরুতেই যুদ্ধ শেষ করার ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু জিতুন মনে করেন, বাইত হানুন হামাসের শক্ত ঘাঁটি না হওয়ার পরও যে ভয়ংকর যুদ্ধ হয়েছে, তা ইঙ্গিত দেয়- হামাসের হাত থেকে গাজা মুক্ত করতে দীর্ঘ কয়েক মাস সময় লাগবে। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।
তিনি আরও লিখেছেন, যদিও ইসরায়েল ২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করা হামাসকে উৎখাত করতে চেয়েছে, কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে ইসরায়েলি বাহিনী প্রতিদিনই হামাসের সক্ষমতা দেখে অবাক হয়েছে। হামাস একটি সত্যিকারের সেনাবাহিনী। তাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের আরপিজি শেলসহ লক্ষাধিক অস্ত্র রয়েছে।
হামাসের কাছে উন্নত রকেট লঞ্চার, বিস্ফোরকবাহী ড্রোন ও আক্রমণকারী ড্রোন রয়েছে। যেগুলো মূলত গত দশকে গাজা উপত্যকায় বিধ্বস্ত হওয়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর স্কাই রাইডার ড্রোনের অনুলিপি হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।
জিতুনের মতে, উল্লিখিত অস্ত্রগুলোর বাইরে হামাস যোদ্ধাদের কাছে মেশিনগান, কালাশনিকভ রাইফেল, ড্রাগনভ স্নাইপার রাইফেল, উন্নত যোগাযোগ যন্ত্র, বিভিন্ন মান ও আকারের বিস্ফোরক ডিভাইস এবং অগণিত পরিমাণ অস্ত্র ও সামরিক সক্ষমতা রয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী সম্প্রতি কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করে দাবি করেছে হামাস যোদ্ধারা আত্মসমর্পণ করেছে। প্রথম ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি শুধু আন্ডারওয়্যার এবং স্যান্ডেল পরে দাঁড়িয়ে আছেন। তার ডান হাতে একটি রাইফেল; আর বাঁ হাতে একটি ম্যাগাজিন রয়েছে। ইসরায়েলি সেনাদের নির্দেশনা অনুযায়ী, তিনি রাইফেল ও ম্যাগাজিন দুটোই রেখে দিচ্ছেন।
তবে ইসরায়েলের এই ভিডিওকে ভুয়া আখ্যা দিয়ে নতুন করে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হামাস। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তাদের দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত একজন বন্দিও গাজ়া থেকে বেঁচে ফিরবে না।
এই হুঁশিয়ারির পরপরই ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবসহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হামাস। হোলোন এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, হোলোন এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অনেকেই আহত হয়েছে এবং কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরেছে।