বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
‘অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তি ও সংবিধান সংস্কার করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে’ এ সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। শিগগিরই রাজপথে নেমে এদের ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে। এজন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতা থেকে নামলে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন। আর আজকে সরকার আদালতকে ব্যবহার করে মানবাধিকার কর্মীদের জেলে ভরছে। গদি ধরে রাখার জন্য তারা বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে। তাই জনগণকে দেশের দায়িত্ব নিতে হবে। আর এই সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই সরকার ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আছে। এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। এই সরকারের বিরুদ্ধে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে অবস্থান নিয়েছে।
নৌকা যত ডুববে তাদের শরীক দলগুলোও পক্ষ পরিবর্তন করবে। কারণ মানুষ আর এই ভোটচোরদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, বর্তমান আবারও একতরফা নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু একতরফা নির্বাচন আর বাংলাদেশের মাটিতে হবে না। বুকের রক্ত দিয়ে হলেও আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করা হবে।
সমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা গণমিছিল বের করেন। মতিঝিল থেকে শুরু হয়ে টিকাটুলির হাটখোলায় গিয়ে শেষ হয় গণমিছিল।
গণমিছিলে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদউল্লাহ কায়সার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।