ইলন মাস্ক। ছবি : সংগৃহীত
তাইওয়ানকে চীনের ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ বলে আবারও আলোচনায় মার্কিন শতকোটিপতি ইলন মাস্ক। তবে মাস্কের এমন মন্তব্যের পাল্টা জবাবও দিয়েছে তাইওয়ান। মাস্কের উদ্দেশে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ বলেছেন, তাদের স্বশাসিত দ্বীপটি ‘বিক্রির জন্য নয়’।
সোশ্যাল হ্যান্ডেল এক্সে এক পোস্টে তিনি মাস্ককে উদ্দেশ করে লিখেছেন, ‘শুনুন, তাইওয়ান চীনের অংশ নয়। অবশ্যই, এটি বিক্রির জন্যও নয়।’
চলতি সপ্তাহে শীর্ষ এক ব্যবসায়িক সম্মেলনে তাইওয়ানকে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের সঙ্গে তুলনা করে মাস্ক বলেন, এটি চীনের ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’।
তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে থাকে চীন। একসময় স্বশাসিত দ্বীপটিকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে বেইজিং। এমনকি প্রয়োজন হলে বলপ্রয়োগের কথাও জানিয়েছে দেশটি। এ নিয়ে এক বছর ধরে চীন ও তাইওয়ানের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। তাইওয়ান ঘিরে নিয়মিত সামরিক মহড়া চালিয়ে আসছে চীনা সেনারা।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় চীনের বিমানবাহিনীর ৪০টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। এগুলোর বেশিরভাগ তাইওয়ানের দক্ষিণে বাশি চ্যানেল অতিক্রম করেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, তাদের মানচিত্র অনুযায়ী এসব বিমানের মধ্যে অন্তত চারটি বিমান তাইওয়ানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে।
তবে তাইওয়ান নিয়ে মন্তব্য করে এবারই প্রথমবারের মতো তোপের মুখে পড়েননি মাস্ক। এর আগে গত অক্টোবরে বেইজিং-তাইপেইয়ের উত্তেজনা সমাধানে তাইওয়ানের ওপর চীনের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দিয়েছিলেন মাস্ক।
এমন মন্তব্যের পর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে টেসলার মালিক বলেন, তাইওয়ান ইস্যুতে দুই সরকার যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মাস্কের প্রশংসা করলেও তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো একই ধরনের কথা বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত।
চীনে মাস্কের বড় ধরনের ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার সাংহাইয়ে একটি বড়ও কারখানা আছে। সম্প্রতি তিনি চীন সফর করেছেন। মে মাসের সফরে তিনি শীর্ষ চীনা কর্মকর্তা এবং চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন, চীনে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায় টেসলা।