DON'T MISS
Home » Bangladesh » বাংলাদেশে আমেরিকার সামরিক কাঠামো কেউ চাইবে না

বাংলাদেশে আমেরিকার সামরিক কাঠামো কেউ চাইবে না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। ছবি : সৌজন্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। ছবি : সৌজন্য

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালিত সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষে তিনি অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও কানাডার অটোয়া ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। ইমতিয়াজ আহমেদ বৈরুতের সেজেসি ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে যুক্ত রয়েছেন। বিশ্বের একাধিক পুরস্কারপ্রাপ্ত এ অধ্যাপকের সম্পাদনায় ও সহলেখক হিসেবে ৫২টি বই ও ১২টি মনোগ্রাফ প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বের নামকরা জার্নালে তার ১৫০টিরও বেশি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশের ব্রিকসের সদস্যপদ না পাওয়া, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহির্বিশ্বের অবস্থান, দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভূকৌশলগত অবস্থানসহ বিভিন্ন বিষয়ে কালবেলার সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এম মুসা। 

কালবেলা : বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্যপদ পেতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা দেখলাম, ছয়টি দেশকে ব্রিকসের সদস্যপদ দেওয়া হলো সেখানে বাংলাদেশ নেই। এ বিষয়টাকে আপনি কীভাবে দেখেন? 

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ : বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্যপদ না পাওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তারপরেও কয়েকটি বিষয় আমাদের দেখা দরকার। একটি হলো, বাংলাদেশ যদি প্রথম দফাতেই ব্রিকসের সদস্যপদ পেয়ে যেত তবে সেটি অনেক হইচই তৈরি করত। বাংলাদেশের জন্য তা স্বাভাবিকভাবেই আরেকটি অস্বস্তি তৈরি করত। ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশসহ ৪০টি দেশ ব্রিকসের সদস্য হতে চেয়েছিল। কিন্তু এসব দেশ ব্রিকসের সদস্যপদ পায়নি। সেখানে প্রথম ধাপেই বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্যপদ পেয়ে গেলে দেশ এবং দেশের বাইরে সবাই মনে করত বাংলাদেশ চীনের প্রভাববলয়ের মধ্যে ঢুকে গেছে। 

nagad

সুতরাং প্রথম ধাপেই ব্রিকসের সদস্যপদ না পাওয়া আমাদের জন্য শুভকর হলো। আগামীতে বাংলাদেশ যখন ব্রিকসের সদস্যপদ পাবে তখন স্বাভাবিকভাবেই এত হইচই হবে না। এবার যে দেশগুলো ব্রিকসের সদস্যপদ পেয়েছে বাংলাদেশের উচিত সেসব দেশকে পর্যবেক্ষণ করা। এসব দেশে ব্রিকস কেমন প্রভাব ফেলছে এবং ব্রিকসের কাঠামো কতটা সফল হয়েছে সেটা বাংলাদেশ পর্যবেক্ষণ করবে। একই সঙ্গে এটা বাংলাদেশের জন্য শিক্ষণীয় হতে পারে। 

ইরান এবং সৌদি আরব এবার ব্রিকসের সদস্যপদ পেয়েছে। এর মধ্যে আমেরিকার সঙ্গে সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে ইরানের ওপর রীতিমতো আমেরিকার স্যাংকশন রয়েছে। এই দুটো দেশে ব্রিকসের সদস্যপদ পাওয়ার প্রভাব কেমন হয় সেটা আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বাংলাদেশ আমেরিকার একটি বন্ধুরাষ্ট্র। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ছোটখাটো কিছু স্যাংকশন রয়েছে। সুতরাং আমার মনে হয় নতুন ছয়টি দেশের মাধ্যমে আমাদের একটি শিক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হলো। 

পৃথিবী ইউনিপোলার থেকে মাল্টিপোলারের দিকে যাচ্ছে। এই মাল্টিপোলারের সম্প্রসারণ থামানোর কোনো উপায় নেই। পশ্চিমা দেশ যতই চেষ্টা করুক না কেন ব্রিকসের মতো কাঠামো বা জোটকে থামানোর কোনো উপায় নেই। এই মুহূর্তে যেমন চীনের উত্থান ঘটছে তেমনি ভারতও একটি উত্থানের মুখে রয়েছে। ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, সৌদি আরব ও ইরানের মতো দেশগুলো আরও শক্তিশালী হচ্ছে, আরও ক্ষমতাশালী হচ্ছে। ডি কলোনাইজেশনের যুগে সামগ্রিকভাবে উন্নতির পথে রয়েছে এসব দেশগুলো। এমনকি আফ্রিকারও পুনরুত্থান ঘটবে। ইতোমধ্যে আমরা সেখানের পরিবর্তন দেখছি। আফ্রিকার দেশগুলো কলোনিয়াল কানেকশন থেকে বের হয়ে আসছে। এর পেছনে তারা যে শক্তিটা পাচ্ছে সেটা চীন এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলো জোগাচ্ছে। 

সুতরাং এ দফায় বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্যপদ না পাওয়া কোনো চিন্তার বিষয় নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে, ইতোমধ্যে আমরা ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সদস্য। ২০২১ সাল থেকেই আমরা এই ব্যাংকের সদস্য। আমরা সেখান থেকে ঋণ নিয়েছি। ফলে এখনই ব্রিকসের সদস্যপদ না পাওয়ায় বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল— এমনটা আমি মনে করি না। বাংলাদেশ এখন ব্রিকসের নতুন সদস্য দেশগুলোকে পর্যবেক্ষণ করবে এবং আগামীতে যখন নতুন সদস্য নেওয়ার কথা হবে তখন বাংলাদেশ চাইলে সেখানে সদস্যপদ পাবে। 

কালবেলা : বাংলাদেশ কি পশ্চিমা চাপ মোকাবিলা করার জন্য ব্রিকসে যোগদান করতে চেয়েছিল? 

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ : সেটা বলা ঠিক হবে না। ব্রিকসের মতো একটি জোটের সদস্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে হয় না। এটা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার বিষয়। বাংলাদেশ ব্রিকসে যোগদান করার ইচ্ছা পোষণ করেছে অনেক আগেই। তখন বাংলাদেশের র‌্যাবের ওপর মার্কিন স্যাংকশন ছিল না। অর্থনৈতিক কোনো কাঠামো বা জোটে যুক্ত হওয়ার মতো সামর্থ্য বাংলাদেশের হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক জোটের সদস্য। তবে আমাদের এখন কোনো সামরিক জোট বা কাঠামোতে যুক্ত হওয়া যৌক্তিক হবে না। কারণ সেটা চীন বা ভারত কেউই চাইবে না। কেউ চাইবে না বাংলাদেশে এই মুহূর্তে আমেরিকার একটি সামরিক কাঠামো তৈরি হোক। 

কালবেলা : কোয়াডে যোগদান করার জন্য বাংলাদেশকে আহ্বান করা হয়েছিল…. 

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ : কোয়াডের ধারণাটি এসেছিল মূলত জাপান থেকে। চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতার জন্য জাপান কোয়াড গঠনে উদ্যোগী হয়। কিন্তু আমেরিকার মূল উৎপাদন অস্ত্র হওয়ায় তারা এটাকে সামরিক দিকে নিয়ে গেছে। কোয়াড বেশি দূর অগ্রসর হয়নি কারণ ভারতও সেটি চায় না। পাকিস্তান যেভাবে আমেরিকাকে স্পেস দিয়েছে ভারতের কাঠামোতে সেটা সম্ভব নয়। এই অঞ্চলে পাকিস্তানের মতো বন্ধু আমেরিকার আর কেউ নেই। পাকিস্তান সেই বন্ধুত্ব থেকে কী পেয়েছে, সেটা সবাই দেখেছে। আফগানিস্তানে ২০ বছর যুদ্ধে কী ক্ষতি হয়েছে সেটিও সবাই জানে। ভারতের চিন্তাবিদ বা নীতিনির্ধারকরা কখনোই আমেরিকার সঙ্গে ওই ধরনের কোনো সম্পর্ক মেনে নেবে না। সুতরাং কোয়াড বেশি দূর এগোবে না সেটা অবধারিত ছিল। 

বাংলাদেশ সব ধরনের অর্থনৈতিক জোট বা অবকাঠামোর মধ্যে সংযুক্ত হতে চাইবে। এমনকি ইন্দোপ্যাসিফিক অ্যালায়েন্সের ব্যাপারেও বাংলাদেশ পজিটিভ চিন্তা করছে শুধু অর্থনৈতিক অবকাঠামোর জন্য। আমাদের এলিট শ্রেণির অনেকেই মনে করেন আমাদের আমেরিকার সঙ্গে থাকা উচিত, চীনের সঙ্গে নয়। এর একটি বড় কারণ, তাদের পরিবার বা সন্তানরা বেশির ভাগ থাকেন পশ্চিমা দেশগুলোতে এবং তাদের পড়াশোনাও সেখানে। অনেকের ব্যবসা-বাণিজ্যও রয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকায়। সুতরাং তারা আমেরিকাপন্থি। 

কালবেলা : সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিশ্বের একটি অন্যতম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে আমেরিকাসহ পশ্চিমের দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সরব। বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল কেন? 

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ : প্রথমত স্বীকার করতে হবে আমাদের গণতন্ত্র, শাসনব্যবস্থা এবং নির্বাচনে দুর্বলতা রয়েছে। দেশের বিদ্যমান গণতন্ত্র নিয়ে বিরোধীদলসহ বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটির বড় সমালোচনা রয়েছে। বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলো আমেরিকার সঙ্গে এক ধরনের ধরনা দেওয়া নীতি অবলম্বন করেন। বাংলাদেশের বিরোধী দলে যখন যারাই থেকেছে তারা এই নীতিতে চলেছেন। ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের কথা বলার সুযোগ আমরাই তৈরি করে দিয়েছি। আমরা এই সুযোগটা তৈরি করে না দিলে তারা এখানে আসত না। আমেরিকা বা পশ্চিমারা তথ্য পায় আমাদের কাছ থেকেই। সুতরাং তাদের কাছে যখন দেশের বড় একটি শ্রেণি কোনো বিষয় বারবার তুলে ধরেন তখন তারা সে বিষয়ে সচেতন হন। 

যেহেতু বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আস্থার ঘাটতি রয়েছে, সেহেতু তারা এখানে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন। এই ঘাটতিটা যদি পূরণ করা যেত তাহলে তারা সে সুযোগটি পেতেন না। আর আমাদের রাজনীতিতে আস্থার ঘাটতি এতটা প্রকট হয়ে গেছে যে সেটি সহসা পূরণ করা সম্ভবও নয়। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা একাত্তরের গণহত্যাকে স্বীকার করে না, জাতির পিতাকে মানে না, তার ওপর আবার একুশে আগস্ট ও পনেরো আগস্টের বেদনাদায়ক ঘটনা রয়েছে। সুতরাং কোনোভাবেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে আস্থার জায়গা তৈরি হচ্ছে না। আমেরিকা সব সময় গণতন্ত্রের জন্য সরব হয়, এটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন। অনেক দেশে গণতন্ত্র নেই সেখানে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। ইসরায়েলের মতো দেশকে তারা সাপোর্ট করে। সেখানে হিউম্যান রাইটসের বিষয়টা তারা এড়িয়ে যায়। তারা ইরাক, আফগানিস্তানকে যেভাবে ধ্বংস করেছে তাতে তাদের কাছে গণতন্ত্রের কোনো মূল্য আছে বলে মনে হয় না। 

বাংলাদেশের ব্যাপারে তারা সরব, কারণ এখানে আমেরিকা এবং ইউরোপের স্বার্থ জড়িত। এখানে তাদের বড় কনসার্ন হলো- তুমি আয় করছ আমার কাছ থেকে কিন্তু তুমি খরচ করছ চীনের সঙ্গে বা রাশিয়ার সঙ্গে। অস্ত্র এবং সাবমেরিন কিনছ চীন থেকে। বড় প্রকল্পগুলো চীনের সঙ্গে এবং রাশিয়ার সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে। হয়তো আমেরিকাকে এভাবে কেউ বুঝিয়েছে। আমেরিকা এমনটা শুধু আমাদের সঙ্গে করেছে তা নয়, তারা জার্মানির সঙ্গেও এখন এমনটা করছে। জার্মানিতে আমেরিকার বিশাল ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে। ১১৯টির বেশি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে জার্মানিতে। রাশিয়ার কাছ থেকে জার্মানির গ্যাস কেনায় আমেরিকা অসন্তুষ্ট। 

বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্তদের আমেরিকাকে বোঝাতে হবে। আমরা জার্মানি না। আমাদের এই সামান্য অর্থনীতি নিয়ে আমরা আমেরিকার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যাব না। আমরা চীন থেকে স্বল্পমূল্যে কাঁচামাল ক্রয় করি। আমরা এই কাঁচামালকে ব্যবহার করে যে পণ্য উৎপাদন করি এবং যে অর্থ উপার্জন করি সেটা দিয়ে আমেরিকা থেকে পণ্য বা অস্ত্র আমদানি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমেরিকা এবং চীনের অস্ত্রের দাম একরকম নয়। 

কালবেলা : এখানে জিওপলিটিক্যাল কোনো বিষয় আছে কী? 

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ : অনেকেই বলে আমেরিকার নীতি হলো একটি যুদ্ধ লাগিয়ে রাখা বা যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করে রাখা। এর ফলে তারা তাদের অস্ত্র বিক্রি করতে পারে। আমেরিকার ট্রিলিয়ন ডলারের স্বার্থ এখানে। এই মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিস্টেম থেকে আমেরিকা বের হতে পারছে না। 

আমেরিকা হয়তো এখন থেকেই চিন্তা করছে, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এবং মিয়ানমারের রাখাইন ও রোহিঙ্গা ইস্যু—এই জায়গায় একটি সম্ভাব্য যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করা যেতে পারে। এই মুহূর্তে মিয়ানমারের রাষ্ট্রকাঠামো এমন যে তার নিজেকেও একধরনের যুদ্ধ পরিস্থিতি বজায় রাখতে হবে। না হলে তারা বিভিন্ন রাজ্যগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে না। ফলে এই জায়গায় একধরনের জিওপলিটিক্স কাজ করতে পারে। 

কালবেলা : বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে এখন যে সমস্যার উদ্ভব হয়েছে, তার সমাধান কীভাবে হতে পারে বলে আপনি মনে করেন? 

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ : যতক্ষণ না পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে ততক্ষণ আমাদের দেশে কোনো ধরনের পরিবর্তন হয় না। সব দেশে গণতন্ত্র একভাবে চলে না। বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্রের ধারা বিভিন্ন রকম। আমাদের দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনকেন্দ্রিক দ্বন্দ্ব নিরসন করতে হলে প্রথমে রাজনৈতিক দলগুলোকে আন্তরিক হতে হবে। নির্বাচনকেন্দ্রিক সমস্যাটা আমাদের দেশের কাঠামোগত সমস্যা। এই সমস্যার সমাধান নিয়ে আমাদেরই ভাবতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে। তবে বাংলাদেশে বড় আকারের কোনো আন্দোলন ছাড়া পরিবর্তনের কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*